ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদের দ্বিতীয় দিনে এসেও বিনোদনের স্থান হিসেবে বিন্দুমাত্র আবেদন কমেনি জাতীয় চিড়িয়াখানার। নগরীর অন্যতম এই বিনোদন কেন্দ্রে দ্বিতীয় দিনেও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
রোববার (২৩ এপ্রিল) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দুপুর গড়াতেই অসংখ্য মানুষের ভিড়ে জমে উঠেছে চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণ। রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসেছেন অগণিত দর্শনার্থী। অধিকাংশই এসেছেন পরিবারসহ, আবার কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ঈদের দিন চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর পরিমাণ ছিল প্রায় এক লাখ। দ্বিতীয় দিনে সে সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ তাদের।
কথা হয় সাভার থেকে আসা একটি পরিবারের সঙ্গে। পরিবারের কর্তাব্যক্তি জামাল উদ্দিন বলেন, গতকাল ব্যস্ততা থাকায় আসতে পারিনি। তাই আজ চলে এলাম। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। সবাই মিলে আনন্দ সহকারে ঘুরছি।
গাজীপুর থেকে পরিবারসহ আসা নাইম আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে আরামে ঘোরাঘুরি করা যায়, তাই আজ চিড়িয়াখানায় আসা। অনেক কিছুই দেখলাম, ভালো লাগল।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মো. মানিক মিয়া বলেন, কাজের চাপে পরিবার নিয়ে বের হওয়া হয় না। তাই ছুটিটাকে কাজে লাগিয়ে তাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বাচ্চারাও এখানে আসতে পেরে খুশি।
মগবাজার থেকে আসা দর্শনার্থী মোস্তফা বলেন, ঈদের দিন অনেক ভিড় হবে ভেবে আসিনি। কিন্তু আজ এসে ভিড় দেখছি। তবে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে বা ঘোরাঘুরিতে কোনো ভোগান্তির শিকার হতে হয়নি।
চিড়িয়াখানায় এসে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাচ্ছে শিশুরা। এতদিন বইয়ের পাতায় যেসব পশু-পাখিকে দেখে এসেছে, বাস্তবে সেসব দেখতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা।
চিড়িয়াখানায় বাঘ আছে ১৩টি, সিংহ আছে সাতটি, হাতি আছে পাঁচটি ও জিরাফ আছে সাতটি। এছাড়া জেব্রা আটটি, জলহস্তী ১৩টি, ক্যাঙ্গারু দুটি, ভাল্লুক চারটি, হায়েনা তিনটি ও গণ্ডারের সংখ্যা একটি। এসব প্রাণীর মধ্যে বাঘ-সিংহের খাঁচার সামনেই শিশু দর্শনার্থীর ভিড় বেশি।
কথা হয় শিশু রাকিবের সঙ্গে। সে বলে, এখানে এসে খুবই খুশি লাগছে। বাঘ-সিংহ দেখে ভয়ও লেগেছে, ভালোও লেগেছে।
বাবার সঙ্গে ঘুরতে এসেছে আরেক শিশু তাসনিয়া। সে বলে, আমি বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক ও ঈগলসহ অনেকগুলো পাখি দেখেছি। তবে ভাল্লুক আর সিংহ আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
এছাড়া চিড়িয়াখানার সঙ্গেই রয়েছে শিশুপার্ক। সেখানেও ছিল শিশুদের সরব সমাগম। বিভিন্ন রাইডে চড়তে দেখা গেছে তাদের।
অন্যবারের তুলনায় এবারের ঈদে চিড়িয়াখানায় জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ লক্ষ্যণীয়। অযাচিত কোনো হকার বা ভিক্ষুকের ভোগান্তি নেই। এছাড়া দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় সরব রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
Leave a Reply