বাংলাদেশ খবর ডেস্ক: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে মো. শাহেদ শেখ (১৭) নামে এক স্কুল ছাত্রকে দিনদুপুরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে আটককৃতদের ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১১টায় শাহেদ শেখ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

শাহেদ উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের রায়ের পানাইল গ্রামের সৌদি প্রবাসী শেখ সাদির ছেলে। নিহত শাহেদ আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদরের অনির্বাণ প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন আগে একই এলাকার জসীম শেখের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে শাহেদের প্রেমের সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহের জেরে ওই মেয়ের চাচাতো ভাই লাদেন শেখ বিষয়টি নিয়ে শাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে লাদেন শেখ প্রতিশোধ নিতে ইব্রাহিমসহ আরও কয়েকজন লোককে সাথে নিয়ে শাহেদের বাড়ির সামনে শাহেদকে একা পেয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় হামলাকারীদের মধ্য থেকে ইব্রাহীম শেখ বাঁশের লাঠি দিয়ে শাহেদের মাথায় আঘাত করে। এতেই শাহেদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় শাহেদের স্বজনেরা চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহেদ শেখের মৃত্যু হয়।

এদিকে এ ঘটনায় শাহেদের পরিবারের পক্ষ থেকে রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ রাতেই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যম ব্যবহার করে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত লাদেন শেখ ও ইব্রাহিম শেখকে গ্রেফতার করেন।

আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়াহিদুজ্জামান বার্তা বাজারকে বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। পরে দু’জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’