গাজীপুর থেকে এস.এম দুর্জয়,
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বরমী ইউনিয়নের কৃতি সন্তান মোঃ জহিরুল ইসলাম সরকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শকে বুকে লালন করে ছাত্র রাজনীতি শুরু করছেন ছাত্রজীবন থেকে।জহিরুল ইসলাম সরকার বাল্যকাল থেকেই খুব শান্ত ,ভদ্র ও নম্রস্বভাবের ছিলেন।তিনি নব্বইয়ের এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসেন এবং ১৯৯৫সাল থেকে ৯৮ পর্যন্ত বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
পরবর্তীতে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও শ্রীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর ছাত্র সংসদ সদস্য ছিলেন।বর্তমানে তিনি বরমী বাজার বণিক সমিতি এবং বরমী ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন ও বরমী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে রয়েছেন,এবং বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন করছেন। জহিরুল ইসলাম সরকার প্রতিবেতককে জানান তিনি ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে তাকে ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়েছে,এলাকায় থাকতে দেয়া হয়নি ব্যাবসা বানিজ্য করতে দেয়া হয়নি।বিএনপি জামাতের মিথ্যা মামলায় এলাকা ছেড়ে থাকতে হয়েছে।জহিরুল ইসলাম বলেন,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণে আমার প্রিয় নেতা গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ (এমপি)মহোদয়ের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য প্রতিনিয়ত তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
এমপি মহোদয়ের নির্দেশে বরমী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন,আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করার জন্য নিয়মিত উঠান বৈঠক করে যাচ্ছেন,নির্বাচনে প্রিয় নেতার আশীর্বাদ পেলে দলীয় মনোনয়ন লাভে সক্ষম হলে ৬ নং বরমী ইউনিয়নকে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিভিন্ন উন্নয়ন স্থানে নিয়ে যাবেন।এবং মাদক মুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত, জুয়া এবং দারিদ্র্য মুক্ত ডিজিটাল ইউনিয়ন উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।তিনি আরো বলেন,আমি বিশ্বাস করি এবার ৬নং বরমী ইউনিয়নের জনগন আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে(ইনশাআল্লাহ)।এদিকে সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন।চায়ের দোকান,পাড়া মহল্লা,মাঠঘাট,হাটবাজার সর্বত্র সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে সরগরম আলোচনা।আসন্ন বরমী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম সরকার সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশী।তিনি দীর্ঘদিন থেকে অত্র এলাকায় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের সাথে,সাধারণ মানুষের স্বার্থে উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন।অনেক সময় নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।
তিনি মনে করেন,রাজনীতিতে ভিন্ন মতাদর্শ থাকতে পারে কিন্তু উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমার মূল উদ্দেশ্য জনগনের সেবা করা।এমন লক্ষ্যকে সামনে রেখেই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জহিরুল ইসলাম সরকার তিনি বরমী ইউনিয়নের দরগাচালা বাজার,বরনল,মাইজপাড়া,বরমী বাজারের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন লোকজনদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালান।মোঃ জহিরুল ইসলাম সরকারকে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই এই ইউনিয়নের নতুন পুরাতন ভোটাররা।স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপের মাধ্যমে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।তিনি নির্বাচিত হলে জনগণ তাকে সব সময় কাছে পাবে এমন প্রত্যাশা।স্থানীয় লোকজন এমন একজন জনবান্ধব নেতাকেই ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।কয়েকজন তরুণ ভোটার জানান মোঃ জহিরুল ইসলাম সরকার একজন জনবান্ধব ব্যক্তি।বিগত করোনাকালীন সময় আমরা অনেক পরিবার কর্মহীন হয়ে পরি।
জহিরুল ইসলাম সরকার আমাদের পাশে থেকে আমাদের কে সব সময় সাহায্য সহযোগিতা করেছেন এবং করোনার সময় নিজ অর্থায়নে প্রায় ৪ হাজার কর্মহীন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এবং সব সময় আমাদের খোঁজ খবর নিতেন।যে কোন সমস্যা নিয়ে আমরা মোঃ জহিরুল ইসলাম সরকারের নিকটে গিয়েছি তিনি আমাদের কে সাহায্য করেছেন।তারা আরও জানান অনেক গরীব মানুষের মেয়ের বিবাহের মধ্যে টাকা পয়সা দিয়েও সাহায্য করেন এবং অনেক অসুস্থ রোগীদের তিনি তার নাগরিক হাসপাতালে ফ্রী চিকিৎসা করেন ও সাহায্য করে থাকেন।তারা বলেন দিনে রাতে,যে কোন বিপদে আপদে ডাকলে জহিরুল ইসলাম সরকার আমাদের পাশে এসে হাজির হন।তাই আমরা বরমী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ চাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জহিরুল ইসলাম সরকারকে চেয়ারম্যান হিসেবে আমাদের মাঝে আমরা চাই।জহিরুল ইসলাম সরকার প্রতিবেদককে আরো বলেন,আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশে আদর্শিত হয়ে আওয়ামীলীগ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।
(ইনশাআল্লাহ) এলাকাবাসী চাইলে এবং দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক।তবে এলাকাবাসীর পাশে এখনও আছি ভবিষ্যতেও পাশে থাকবো।আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলে ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট উন্নয়ন,মাদক মুক্ত,সামাজিক উন্নয়ন সহ অবহেলিত মানুষের পাশে সবসময় থাকবো। স্থানীয় এলাকাবাসী অনেকেই বলেন,অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে মোঃ জহিরুল ইসলাম সরকারকে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।সাধারণ মানুষের মধ্যে তার যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে তাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তার বিজয়ী হওয়া সুনিশ্চিত।(ইনশাআল্লাহ)।
Leave a Reply