জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ফারহানা আক্তার,
উত্তর জনপদের পঞ্চ গীতিকবি অন্যতম গীতিকবি একেএম আব্দুল আজিজ ।
১৯৬৬ সালে কোন এক রমণীর আকুতির কথা সুরের আবেশে বাঙালি কে জানিয়েছিল – “কলকল ছলছল নদী করে টলমল” গানে।
মরমী শিল্পী আব্দুল আলীম এই গানটি গেয়েছিলেন।
একেএম আব্দুল আজিজ জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ১৯২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর, মৃত্যু ২ মার্চ, ১৯৮২। তাঁর পুরো পরিবার জেলায় সংগীত পরিবার হিসেবে পরিচিত। ভাওয়াইয়া সম্রাজ্ঞী নাদিরা বেগম তাঁর কন্যা।
১৯৫১ সালে ঢাকা বেতারে প্রথম তিনি সংগীত পরিবেশন করেন।
যিনি জয়পুরহাটের সন্তান।
লোক সংগীতের সাধনালব্ধ সৃষ্টির একেএম আব্দুল আজিজের গান বাংলাদেশের লোকসংগীত ধারায় “আজিজ সংগীত” হিসেবে পরিচিত।
তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী, সংগীত পরিচালক অন্যদিকে দক্ষ ক্রীড়াবিদ।
সংগীতের বিভিন্ন ধারায় তিনি অজস্র সংগীত রচনা করেছেন।
তার রচিত গানের মধ্যে অন্যতম হলো- দেশ প্রকৃতি নির্ভর গান, ভাওয়াইয়া, জারি, সারি, মুর্শিদী, সারি,ভজন, গজল, কীর্তন, মারফতি, রাগপ্রধান, রাগপ্রধান সহ আধুনিক গান।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আর্কাইভে তাঁর গান সংরক্ষিত আছে।
এই গীতিকারের সমস্ত গান নিয়ে লোকসংগীত গবেষক ডক্টর জেসমিন বুলি ” একেএম আব্দুল আজিজের গান” শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেছেন।
তাঁর অমর সৃষ্টি কে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে জয়পুরহাট জেলায় দীর্ঘদিন থেকে সংগীত চর্চা, প্রচার ও প্রসারে কাজ করছে “একেএম আব্দুল আজিজ সংগীত ভুবন” নামে একটি সংগঠন। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাজা চৌধুরী এই সংগঠনের সভাপতি ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা সংগীত শিল্পী তামান্না ইয়াসমিন এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশে সুস্থ ধারার সংগীত চর্চা বিশেষ করে লোকসংগীত ধারায় একেএম আব্দুল আজিজের সৃষ্টি একটি গৌরব্বোজ্জল অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
আজ বিশ্ব সংগীত দিবসে সজ্ঞীতঙ্গ একেএম আব্দুল আজিজ এর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
Leave a Reply