ডেস্ক রিপোর্ট: শতবর্ষের বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের ঘটনার চিত্র তুলে ধরে নানা আয়োজনে শেষ হলো ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন।
শনিবার (২৬ মার্চ) রাত ৮টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয় নাট্যোৎসব। এতে অংশ নেয় বেশ কয়েকটি নাট্যদল। মুক্তিযুদ্ধ কনসার্ট দিয়ে শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের উদযাপন।
নাট্যোৎসবে শতবর্ষের বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের নানা ঘটনা তুলে ধরেন নাট্যদলগুলো। নাট্যোৎসবটি দেখার জন্য কয়েক হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়। ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব, অভিনেতা ফেরদৌস, নৃত্যশিল্পী শিবলী মাহমুদ, শামীম আরা নিপাসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিরা।
রাজধানীর ফার্মগেট থেকে আসা সংস্কার নাট্যদলের সদস্য সাইফুল সাফি জাগো নিউজকে বলেন, বিকেল থেকে এখানে এসে সবগুলো আয়োজন দেখেছি। জাতীয় অনুষ্ঠান হিসেবে যেমন হওয়া উচিত তেমনটিই হয়েছে। ইতিহাস-ঐতিহ্যের মিশেলে দারুণ ছিলো অনুষ্ঠানটি।
রাজধানীর ইসলামবাগ থেকে আসা আঁখি মনি বলেন, বিকেলে এসেছি। টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠান উপভোগ করছি। অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। সরাসরি এমন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান দেখে কেমন লাগছে তা হয়তো কোনো ভাষা দিয়ে বুঝাতে পারবো না। প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বক্তব্যও দিয়েছেন শুরুতে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে পাঁচদিনব্যাপী ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’ কর্মসূচির প্রথম চারদিন রাজধানীর ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা। পঞ্চম দিন অর্থাৎ সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান হবে হাতিরঝিলে।
Leave a Reply