শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন
- Update Time : রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০
- ৩৬৫ জন পঠিত
বাউফল থেকে শাকের আমীন,
বাউফলে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে এক গৃহবধুর লাশ রেখে পালিয়ে গেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বৃহস্পতিবার ১ অক্টোবর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়েছেন। মৃত্যু ওই গৃহবধুর নাম মোসা. শাহীনুর বেগম (২৬)। তার পিতারর নাম মো. হুমায়ুন কবির সরদার। সে বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস গ্রামের বাসিন্দা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহষ্পতিবার সন্ধা সাতটার দিকে বদিউল আলম নামের এক ব্যাক্তি নিকট আত্মীয় পরিচয় দিয়ে শাহীনুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহীনুরকে মৃত্যু ঘোষণা করলে গাড়ি আনার কথা বলে ওই নিকট আত্মীয় কেটে পড়েন। শাহীনুরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এমন খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে শাহীনুরের বাবার বাড়ির স্বজনরা হাসপাতালে এসে মরদহ দেখে বাউফল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয় যায়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সুব্রত কুমার বিশ্বাস জানান, নিকট আত্মীয় পরিচয়ের ব্যাক্তি শাহীনুরকে জরুরী বিভাগে এনে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানান। তবে আমার কাছে সে রকম মনে হয়নি। হাসপতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রতিবশী ও শাহীনুরের নিকট আত্মীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় সারে চার বছর আগে শাহীনুর সম্পর্ক করে বিলবিলাস গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম খানের ছেলে মো. জুয়লকে বিয়ে করে। তাদের তিন বছরেরর একটি মেয়ে ও চার মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। জুয়েল ঢাকা জজকোর্টে এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন। শাহীনুরের ফুফু মোসা. রওশন আরা (৪৫) অভিযোগের সুরে বলেন, বিয়ের পর থেকেই শাহীনুরকে তার শাশুড়ি মিনারা বেগম (৫০), ফুফু শাশুড়ি মমতাজ বেগম (৪৫), ননদ নাসিমা বেগম (৩০) ও মাকসুদা বেগম (৩৫) বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো।
শাহীনুরকে নির্যাতন করেই হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে শাহীনুরের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মগোপনে রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় শাহীনুর স্ট্রোক করেছে বলে বলা হয়েছে। শাহীনুর খুবই শান্ত স্বভাবের ছিল।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানা হয়েছে। আর আত্মহত্যা করে থাকলেও কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তদন্ত করা হবে।
More News Of This Category
Leave a Reply