গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন
খাগবাড়ী গ্রামের প্রশান্ত সরকার (৪০) নামের এক সার ব্যবসায়ী।
এ ঘটনায় তার পিতা বিরেন্দ্রনাথ সরকার (৬০) এবং ভাই সুশান্ত
সরকার (৩৫) গুরুতর আহত হয়। গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায়
খাগবাড়ী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সরজমিনে জানা যায়, এলাকার
ভুক্তভোগী সার ডিলারের সাথে অবৈধ সার বিক্রেতা হরিদাস
বিশ্বাস (৫০) এর দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ
চলে আসছিল। ঘটনার দিন বাড়ী থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে
যাওয়ার সময় হরিদাস বিশ্বাসের ছেলে সন্দিপ বিশ্বাস (৩০) ও
স¤্রাট বিশ্বাস (২৭) দেশীও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে প্রশান্ত সরকারের উপর
অতর্কীত হামলা চালায়। এ সময় তার সাথে থাকা নগদ অর্থ ও
স্বর্ণালংকর ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। ঠেকাতে গেলে তার বাবা
ও ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে। স্বজনেরা আহতদের চিকিৎসার জন্য
কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় হৃদয় সরকার
বাদী হয়ে ৩ জনকে বিবাদী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি
মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হরিদাস বিশ্বাস ও ছেলে স¤্রাট
বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পথে এলাকাবাসী
বিচারের দাবীতে রাস্তায় গাছ ফেলে বেরিগেট দেয়। পরে অতিরিক্ত
পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে হামলাকারীদের। প্রশান্ত সরকার
সাংবাদিকদের বলেন- আমি এলাকার সার ডিলার, হরিদাস অবৈধ
ভাবে সার বিক্রি করে, কর্তৃপক্ষ তার খোজে গেলে সে আমাকে
সন্দেহ করে, তাই মারপিট করেছে, তারা আমার সাথে থাকা প্রায়
১ লক্ষ টাকা, মোবাইল ও ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে
নেয়, আমি এঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
খগেন্দ্রনাথ মল্লিক জানান- মনিন্দ্র হালদারের দোকানে আমি ও
প্রশান্ত চা খাচ্ছিলাম, স¤্রাট ও সন্দিপ এসে পিছন দিক থেকে
হঠাৎ প্রশান্তের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। কালিপদ সরকার
সহ অনেকেই বলেন- হরিদাস অবৈধ সার বিক্রেতা, তার ঠিকানা
বরিশালের বাহাদুরপুর, সে বিভিন্ন অপকর্মের কারনে এলাকা
ছেড়ে কোটালীপাড়া খাগবাড়ী এসে বিয়ে করে ঘর জামাই
থাকে, এখানেও নানান অপকর্মের সাথে জড়িত সে। এ বিষয়ে
সন্দিপ বিশ্বাস বলেন- আমার বাবাকে প্রথমে মারপিট করেছে। এ
ব্যাপারে ইউপি সদস্য মৃনাল কান্তি জয়ধরের সাথে কথা বলতে
চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার
অফিসার ইনচার্জ শেখ লুৎফর রহমান বলেন- থানায় একটি মামলা
দায়ের হয়েছে, ২ আসামীকে গ্রেফতার করে ২৮ এপ্রিল কোর্ট
হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply